কুকুরের ডাক-গভীর রাতে কিংবা আযানের সময় কুকুর ডাকার ব্যাখ্যা

গভীর রাতে কিংবা আযানের সময় কুকুর ডাকে কেনো?

গভীর রাতে কিংবা আযানের সময় কুকুর ডাকে কেনো?
কুকুরের বিলাপ

কুকুরের ডাকা যাকে বাংলায় এক কথায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় বুক্কন। আর কুকুরের ডাকের ইংরেজি Dogs Call কিন্তু কুকুরের বিলাপ করাকে ইংরেজিতে Howling বলে। গভীর রাতে কুকুরের করুন বিলাপ শব্দ শুনে নাই এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। কখনো কি চিন্তা করেছেন কুকুর কেনো এমন বিলাপ করে কিংবা চিৎকার করেবিশেষ করে আযান দেওয়ার সময় অনেক কুকুরই চিৎকার করে। কিন্তু কেনো তারা এমন করেএর পিছনে আসল কি কারন আছে তা আজ আমরা এই পোস্টে জানার চেষ্টা করবো।

কুকুর সামাজিক ও প্রভু ভক্ত প্রানী। মানুষের মনের ভাষা বুজার ক্ষমতা এদের অন্য সব প্রানীর ছেয়ে বেশী কিন্তু তারা আমাদের মতো কথা বলতে পারে না। আর তাই তারা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতেই তাদের মনের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করে। ভাব প্রকাশ করার জন্য তারা সাধারনত যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে তা হতে পারে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়াদুই পায়ে ভর দিয়ে দাড়িঁয়ে যাওয়াগড়গড় শব্দ করা কিংবা উচ্চস্বরে চিৎকার করা সহ শাররীক বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা তাদের একেক ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য একেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। যখন তারা খুব খুশিতে থাকে তখন তারা আপনার আশে পাশে ছুটাছুটি করবেআপনার পায়ে মাথা রাখবে। লাফিয়ে আপনার কোলে উঠতে চাইবে। আবার যখন তারা আপনাকে কোন কিছু বুজাতে চাইবে তখন তারা ভিন্ন রকম শাররীক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তা বুজাবে।

কুকুর খুব শান্ত প্রানী কিন্তু কোন কারনে তারা যদি কষ্টে থাকে কিংবা আপনাকে বিশেষ কিছু বুজাতে চায় তখন তারা চিৎকার করে কিংবা বিলাপ করে ডাকা ডাকি করে। কিন্তু কোন সে বিশেষ কারন যার কারেনে কুকুর চিৎকার করে ডাকে?? এ বিষয়টি জানার আগে আমরা জেনে নিই কুকুর সাধারনত কোন কোন শব্দে এবং কেনো ডাকে।

হোল ডগ জার্নাল অনুসারে কুকুরের প্রতিটি ডাকের শব্দের একেকটা মানে আছে। কুকুর কয়েক ভাবেই ডাকে। তবে আমরা সচারচর যেসব দেখে অভ্যস্ত আজ তা নিয়েই আলোচনা করবো।

০১. গরগর করে ডাকা

কুকুরের গড়গড় আওয়াজের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কোন খাবার নিয়ে যখন দুটি কুকুর ঝড়গা লাগে তখন এমন শব্দ বেশী শোনা যায়। কুকুরের এই গড়গড় করে ডাকা মানে এই না সে রেগে গিয়েছে। বরং হতে পারে সে ভয় পেয়েছে কিংবা যা ঘটছে তার পছন্দ হচ্ছে না। কোন কিছুর দখল নেওয়ার সময়ও কুকুর এমন করে ডেকে উঠে। মাঝে মাঝে কুকুর তাদের আনন্দ প্রকাশ করার জন্যও এমন ভাবে ডেকে উঠে। আবার কোন অগন্তুককে দেখলে যাকে সে পছন্দ করে না তা হতে পারে বিড়াল, গুই সাপ কিংবা কোন মানুষ তাদের দেখলেও কুকুর এমন ভাবে ডেকে উঠে।

০২. কুই কুই করে ডাকা

কুকুর সাধারনত ব্যাথা পেলে এমন করে কান্না করে। আমেরিকান ক্যানেল ক্লাব এর তথ্য অনুসারে কুকুরের এমন ডাক মানে সে আপনাকে কিছু বুজাতে চাচ্ছে। তা হতে পারে তার প্রতি মনযোগ, তার ক্ষুদা, তার ব্যাথা বা যন্ত্রনা, কিংবা সে কোন কারনে ভয় পাচ্ছে। এছাড়াও হতে পারে কোন কারনে আপনি তাকে বকা দিলে কিংবা আঘাত করলে সে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও এমন ভাবে ডেকে উঠে।

০৩. শান্তির ডাক

গৃহপালিত পোষা কুকুর যখন শুয়ে পড়ে তখন মাঝে মাঝে অদ্ভুত ধরনের এক আওয়াজ করে। এই আওয়াজের মানে হচ্ছে সে এখন রিল্যাক্সে আছে। এমন আওয়াজ মানে শান্তি, ভালোলাগা, সন্তুষ্টি কিংবা নির্জনতা প্রকাশ।

০৪. উচ্চস্বরে ঘেউ ঘেউ করে ডাকা

কুকুর মানেই আমাদের ধারনা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ডাকে। আর কুকুর সাধারনত অপরিচিত কাউকে দেখলে, নিজের শত্রুর উপস্থিতি বুজতে পারলে কিংবা নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এমন ডাক দিয়ে থাকে।

০৫. হু হু করে ডাকা

অনেক সময় কুকুর আকাশে চাঁদ উঠলে হু হু করে আকাশের দিকে মুখ তুলে আওয়াজ করে? এইটা তারা তাদের পূর্বপুরুষ নেকড়ে হতে অর্জন করেছে। এইটা হতে পারে সমগোত্রীয় অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা, নিজের এলাকার দখল রাখা, সঙ্গীর দখল রাখা, একাকিত্ব ইত্যাদি কারনে।

এই পোস্টে মূলত কুকুরের হু হু করে কান্না করার কারন গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

কুকুরের চিৎকার কিংবা বিলাপ সেই আদিম কাল থেকেই তাদের মাঝে বয়ে আসছে। ধারনা করা হয় এই স্বভাবটা তারা তাদের পূর্ব পুরুষ নেকড়ে থেকে অর্জন করেছে। কুকুরের এই ডাক কিন্তু সব সময় যে খারাপ কিছু এমনটাও না কারন অধিকাংশ সময়ই তারা যোগাযোগের জন্য এমন শব্দ করে থাকে। আবার যখন তারা কোন কারনে চাপে থাকে কিংবা ভয় পায় কিংবা ব্যাথা পায় তখন তারা চিৎকার করে ডেকে উঠতে পারে। কুকুরের ডাকের ধরনে শুনেই বুজা যায় তারা কেনো চিৎকার করতেছে। যখন তারা চিকন স্বরে গড়গড় করে তখন বুজতে হবে সে কোন অপরিচিত ব্যাক্তি বা বস্তুকে দেখেছে যা সে পূর্বে দেখে নাই। আবার যখন তার ক্ষুদা লাগবে তখনও সে চিৎকার করবে। জীবন ধারনের সকল সুবিধা পাওয়ার পরেও যখন কোন কুকুর সময়ে সময়ে ডেকে উঠে তাহলে বুজতে হবে আপনার কুকুরের অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে।

আমরা প্রায় সবাই দেখেছি মাইকে আজানের শব্দ শুনলে অনেক কুকুর চিৎকার করে ডেকে উঠে। এর ব্যাখায় ইসলামিক স্কলাররা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর একটি হাদিসকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন। তা নিম্নরূপ-

'আজানের শব্দ শুনে শয়তান বায়ু ত্যাগ করতে করতে পালায়ন করে আর কুকুর শয়তানকে দেখতে পায় তাই আজান দিলেই কুকুরগুলো ডেকে উঠে ।''-বুখারীমুসলিমমিশকাত হা/৬৫৫।

কুকুরের ডাকা শুনলে শয়তান থেকে আশ্রয় ছেয়ে দোয়া করতে হয়। কুকুরের ডাক শুনলে এই দোয়া পড়বেন

اَعْوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ - অর্থ : ‘আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।

ধর্মঅনুযায়ী কুকুরের ডাকের ব্যখ্যা পাওয়া গেলেও আজানের সময় কিংবা গভীর রাতে কিংবা অন্য কোন সময়ে কুকুরের ডাকের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা কি?

কুকুরের এমন ডাকের কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমার জানা নেই তবে প্রানী আচরনবিদরা ধারনা করেন কুকুর শব্দের অনুকরণ করতে গিয়েই এমন করে থাকে।

শুধু আজানের সময়েই কুকুর এমন করে হু হু করে ডেকে ‍উঠে তাও কিন্তু নয়। অনেক সময় কোন গানের মিউজিক বাজলে কিংবা এম্বুলেন্সে এর সাইরেনের শব্দ কিংবা যেকোন সাইরেনের শব্দে কুকুর ডেকে উঠে। আবার একই শব্দে সব ককুরই কিন্তু প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আজানের সময় অনেক কুকুর ডাকে আবার অনেক কুকুর ডাকে না।  এর কারন হতে পারে শব্দের অনুকরন। অর্থ্যাৎ এই শব্দটা সে আগেও শুনেছে এবং এই শব্দটা তার দৃষ্টি আর্কষন করেছে তার কারনে সেই একই শব্দ শোনার সাথে সাথে তারা চিৎকার করে ডেকে উঠে। আমরা সাধারনত কোন পরিচিত শব্দ শোনার সাথে সাথে নিজের অজান্তেই তার প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাই। যেমন হঠাৎ আমাদের কানে কোন পরিচিত গানের শব্দ বাজলে তা আমাদের মনের মাঝে তাৎক্ষনাত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তা হতে পারে আনন্দের কিংবা বিষাদের। কুকুরদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য। তারাও পরিচিত শব্দ শুনলে তার প্রতিক্রিয়ায় শব্দ করে ডেকে উঠে।

আবার অনেকের ধারনা, উচ্চ শব্দে কুকুর ভয় পায়। যেসব কুকুর ভয় পায় তারা উক্ত শব্দ শুনলে তার সাথে সাথে তাদের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে। এছাড়াও কুকুর আরো অনেক কারনেই ডাকে। তার কয়েকটি নিছে আলোচনা করা হলো।



আবেগী অবস্থা প্রকাশ করার জন্য

কুকুর অনেক ইমোশনাল ও অনুভূতি সম্পন্ন প্রানী। বিশেষ করে পোষা কুকুরগুলো। এরা চায় আপনি তাদের সাথে সময় কাটান। তাদেরকে সময় দিন। তাদের সাথে খেলা করুন কিন্তু কোন কারনে আপনি যদি তাদের প্রতি পর্যাপ্ত মনযোগ দিতে না পারেন তাহলে তারা তা বুজতে পারে। আর তখনি আপনার মনযোগ আর্কষন করার জন্য তারা চিৎকার করে কান্না করে।

যোগাযোগের জন্য ডাক দেওয়া

প্রতিটি প্রানীই নিজের স্বগোত্রের সাথে যোগাযোগ করে থাকে কিন্তু মানুষের মতো তাদের ভাষা নেই তাই তারা উচ্চস্বরে ডাকাডাকির মাধ্যমে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। শুধু যোগাযোগ না অন্যের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্যও তারা উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে। যা হয়তো আমরা সবসময় বুজতে পারি না।

পারিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হওয়া

একই পরিবারের পোষা কুকুরগুলো যখন কোন কারনে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তারা পুনরায় মিলিত হয় তখন তারা তাদের মনের আনন্দ প্রকাশ করার জন্য এবং তা উদযাপন করার জন্য ডাকাডাকি করে।

 স্বগোত্রীয় কাউকে ডাকা

অনেক সময় দেখা যায়একটি কুকুর ডেকে উঠলে অন্য একটা কুকুরও একই সাথে ডেকে উঠে। এর কারন হচ্ছে প্রথম যে কুকুরটা ডাক দিয়েছে তার ডাকের মর্মার্থ অন্য কুকুটি বুজতে পেরেছে আর তাই ডাক শুনার সাথে সাথেই সে ডাকের জবাব দিয়ে দিয়েছে।

যখন কুকুর নিঃসঙ্গতায় ভোগে

কুকুরের বিলাপ করে কান্না করার সবছেয়ে বড় কারন হচ্ছে তাদের একাকিত্ব। প্রতিটি প্রানীর মতোই কুকুরও পরিবারের সাথে থাকতে পছন্দ করে। কোন কারনে সে যদি একাকিত্ব বোধ করে তখন সে তা প্রকাশ করার জন্য বিলাপ করে কান্না করে। আবার পোষা কুকুরগুলো মনিবের  অনেক ভক্ত হয়ে থাকে। যার কারনে তারা যখন অনেক সময় ধরে মনিবকে দেখতে না পায় তখন তারা চিৎকার করে কান্না করে থাকে।

যখন তারা ব্যাথা পায়

ব্যাথা পেলে সকল প্রানীই চিৎকার দিয়ে উঠে। কুকুরও এর ব্যাতিক্রম নয়। যখন তারা কোন কারনে ব্যাথা পায় তখন তারা চিৎকার করে। ব্যাথা পাওয়ার ডাকটা অন্য সব ডাক থেকে আলাদা হয়। পোষা কুকুর গুলো ব্যাথা পেলে কুই কুই জাতীয় শব্দ করে তার মনিবের দৃষ্টি আর্কষন করতে চায়।

যখন তারা চাপে থাকে কিংবা ভয় পায়

গবেষনায় দেখা গেছে বড় বড় শহরে কিংবা যেখানে প্রচুর গাড়ী চলাচল করে কিংবা উচ্চ শব্দময় অঞ্চলের কুকুরগুলো সাধারনত অনেক স্ট্রেসে থাকে। এর একটা কারন হতে পারে শব্দ দূষণ যার কারনে তারা অনেক ভয় পায়। বিশেষ করে ব্রিডিং এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া জাতের কুকুরগুলো উচ্চ শব্দে অনেক ভয় পায়। যার কারনে তারা ক্ষনে ক্ষনে চিৎকার করে ডেকে্ উঠে।

নিজ রাজ্য সীমানার দখল রাখা

প্রতিটি প্রানীর একটি টেরিটোরি এলাকা আছে। যেখানে সে নিজের পছন্দের বাহিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয় না। এইটা বাঘ সিংহ এদের ক্ষেত্রে বেশী দেখা যায়। কুকুরদেরও নিজস্ব একটা রাজ্য সীমানা আছে। বিশেষ করে পুরুষ কুকুরদের। তারা তাদের সীমানা দখল রাখার জন্য এবং অন্য কোন কুকুর যেনো তার সীমানার ভিতর প্রবেশ করতে না পরে তা জানান দিতে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে। বিশেষ করে তার সঙ্গী কুকুরটির দখল রাখার জন্য সে সব সময় তার এলাকায় অন্য কারো উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না।

অপরিচিত কাউকে দেখলে

কুকুর মানেই প্রভু ভক্ত এক প্রানী। যারা তাদের মনিবের জন্য নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকে। তাই মনিবের অগোচরে কেউ বাড়িতে আসলে তারা তা মনিবকে জানান দিতে কিংবা মনিবের নিরাপত্তা রক্ষা করতে উচ্ছস্বরে ডাকাডাকি করে। বিশেষ করে রাতের আঁধারে মনিবের বাসার আশে পাশে কারো উপস্থিতি তার নজরে এলেই সে চিৎকার করে ডেকে উঠে।

মনিবের মৃত্যু

অনেক সময় দেখা যায় পোষা কুকুরগুলো তাদের মনিবের মৃত্যু হলে তার কবরের উপর শুয়ে থাকে। এইটা তার প্রভু ভক্তি ও ভালোবাসা। কোন কারনে যদি কুকুরের মনিব মারা যায় তা কুকুর সহজে সহ্য করতে পারে না। আর তাই মনিবের মৃত্যুর পরে যখনি তার মনিবের কথা মনে পড়ে তখনি সে চিৎকার করে কেঁদে উঠে।  

এছাড়াও পোষা কুকুরের প্রতি কম যত্ন নেওয়া, কম খাবার দেওয়া, কম গুরুত্ব দেওয়া, কম সময়  দেওয়া এই ব্যাপারগুলো কুকুর বুজতে পারে। আর তাই মনিবের দৃষ্টি আর্কষন করার জন্য কিংবা তার সমস্যার কথা জানানোর জন্য সে চিৎকার করে ডেকে উঠে। সে কথা বলতে পারে না কিন্তু তার প্রয়োজনটা তাকে জানাতে হবে। আর সেই কারনেই কুকুর চিৎকার করে ডাকাডাকি করে থাকে।

মন্তব্য

কুকুর একটি সামাজিক প্রানী। যদিও আমাদের সমাজে কুকুরকে নিয়ে অনেক কুসংষ্কার আছে। একবিংশ শতাব্দিতে এসে কুকুরকে নিয়ে সমাজের এই ভ্রান্ত কুসংষ্কার গুলোকে পরিহার করে কুকুদের বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরী করে দিই। এরা আপনার আমাদের সকলের উপকারেই আসবে কোন ক্ষতি করবে না। 

Post a Comment

How is this Article? Please say your opinion in comment box.

Previous Post Next Post